১৭৯৫ সালে পার্বত্য রামগড়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর গোড়াপত্তন হয় ‘রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন’ নামে। সপ্তদশ শতকের শেষভাগে পার্বত্য চট্টগ্রামে লুসাই বিদ্রোহ দেখা দিলে এ এলাকা রক্ষার জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রামগড়ে মাত্র ৪৮৬ জন সৈন্য নিয়ে ‘রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন’ গঠন করে। অস্ত্র শস্ত্রের মধ্যে ছিল ৬ পাউন্ড গোলার ৪টি কামান। এছাড়া দুটি অনিয়মিত অশ্বরোহি দল ও যাতায়তের জন্য ছিল কয়েকটি উপযোগি যানবাহন। রামগড় সদরের ভারত সীমান্ত ঘেঁষা অফিস টিলা এলাকায় অবস্থিত ‘রাইফেলস্ স্মৃতিস্তম্ভে’ লেখা রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- এর সুদীর্ঘ বছরের সেই গৌরবোজ্জল জন্ম ইতিহাস। ১৭৯৫ থেকে ১৮৬০ সাল পর্যন্ত রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন নামে বাহিনিটির কার্যক্রম চলে। ১৮৬১ সালে এ বাহিনিকে পুর্নগঠিত করে এর নামকরণ করা হয় ফ্রন্টিয়ার গার্ডস। সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে ১৪৫৪ জনে উন্নীত করা হয়। ঐ সময় এ পার্বত্য এলাকায় লুসাই বিদ্রোহ চরম আকার ধারণ করলে ১৮৭১ সালে সৈন্য সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করে এ বিদ্রোহ দমন করে বাহিনিটি। পরবর্তিকালে ১৮৭৯ সালে ফ্রন্টিয়ার গার্ডস্ নাম পরিবর্তন করে স্পেশাল রির্জাভবাহিনি, ১৮৯১তে বেঙ্গল মিলিটারি পুলিশ ব্যাটালিয়ন, ১৯১২ সালে ঢাকা মিলিটারি পুলিশ, ১৯২০ সালে বেঙ্গল ব্যাটালিয়ন অব ইষ্টার্ণ ফ্যন্টিয়ার রাইফেলস্, ১৯৪৭ এ ভারত বিভক্তির পর নতুন নামকরণ হয় ইষ্টার্ণ পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর)। অনেক বিবর্তন পরিবর্তন পরিবর্ধন এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ইপিআর নাম বদল করে বাহিনিটির নাম দেওয়া হয় বাংলাদেশ রাইফেলস্ বা বিডিআর। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সংঘঠিত বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার পর ২০১০ এর ৮ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন ২০১০’ পাস হওয়ার মাধ্যমে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এ সীমান্তরক্ষী বাহিনির সর্বশেষ নামকরণ হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি।
২০০৫ সালে তৎকালিন ৩৩ রাইফেল ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে রামগড়ে স্থাপন করা হয় এ বাহিনীর বিশাল স্মৃতিস্তম্ভ। এর বেদিতে বিজিবি’র সংক্ষিপ্ত জন্ম ইতিহাস লেখা ছাড়াও পোড়া মাটি দিয়ে তৈরি বাহিনীটির বিবর্তনের ৮টি অবয়ব বা টেরাকোটা স্থাপন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন সমতল জেলা থেকে আগত পর্যটকরা দৃষ্টিনন্দন এ বিশাল স্মৃতিস্তম্ভটি ঘুরে দেখেন আর জেনে নেন বাহিনীটির সুদীর্ঘকালের জন্ম ইতিহাস।
২০০৫ সালে তৎকালিন ৩৩ রাইফেল ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে রামগড়ে স্থাপন করা হয় এ বাহিনীর বিশাল স্মৃতিস্তম্ভ। এর বেদিতে বিজিবি’র সংক্ষিপ্ত জন্ম ইতিহাস লেখা ছাড়াও পোড়া মাটি দিয়ে তৈরি বাহিনীটির বিবর্তনের ৮টি অবয়ব বা টেরাকোটা স্থাপন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন সমতল জেলা থেকে আগত পর্যটকরা দৃষ্টিনন্দন এ বিশাল স্মৃতিস্তম্ভটি ঘুরে দেখেন আর জেনে নেন বাহিনীটির সুদীর্ঘকালের জন্ম ইতিহাস।