Saturday, May 13, 2017

সকালের করণীয় বিষয়সমূহ



v প্রতিদিন প্রত্যুষে জেগে উঠুন সুন্দরভাবে অযু করে fresh হয়ে নিন

v সালাত আদায় করুন, কিছু যিকির আযকার করুন আল্লাহ্‌র সমিপে ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং বিনয়ভরা হৃদয়ে তার ভান্ডার থেকে চেয়ে নিন

v সারা দিনের করণীয় গুলো সম্পর্কে পরিকল্পনা করুন, মনস্থির করুন

v সকালের নাস্তা সেরে পরম দয়াময় আল্লাহ্‌র নাম নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন

v মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মতো কথা বলুন, কাজ করুন

v কারো সাথে বিবাদে জড়িয়ে আপনার মূল্যবান সময় এবং শক্তি অপচয় করবেন না

v সব সময় ভাল কাজে সময় ও শক্তি ব্যয় করুন

v প্রতিটি ভালো কাজ এবং ভালো সংবাদের জন্যে পরম করুণাময় আল্লাহ্‌’তায়ালার শুকরিয়া আদায় করুন

v মন্দটাকে ভালোতে বদলে দেবার সংকল্প নিয়ে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করুন

v দুঃসংবাদে ভেংগে পড়বেন না জীবন সব সময় সমান যায় না আল্লাহর উপর ভরসা করে ভাল কিছুর জন্যে অপেক্ষা করুন দুঃসংবাদের পর অবশ্যি সুসংবাদ পাবেন মনে রাখবেন রাত যত গভীর হয় প্রভাত তত নিকটে আসে।

v কাউকেও ঘৃনা করে কিংবা কারো উপর রাগ করে, অথবা কারো প্রতি মনে কষ্ট নিয়ে সময় নষ্ট করার জন্য জীবন নয়। মনরাখবেন জীবন খুবই ছোট সব কিছুর জন্যে সবাইকে ক্ষমা করে দিন, উদার হৃদয়ে

v কঠিন করে কোন বিষয় ভাববেন না সকল বিষয়ের সহজ সমাধান চিন্তা করুন

v কারো সাথে বিতর্কে জড়িয়ে সময় নষ্ট করবেন না কারণ, বিতর্ক কোনো কিছুর সমাধান দেয় না

v অতীতের ভূলগুলো শুধরে নিন কারন অতীত চিরকাল অতীত ও অস্তিত্বহী। তাই অতীতের ব্যর্থতার কথা চিন্তা করে বর্তমানকে নষ্ট করবে না

v মনে রাখবেন জ্ঞানের জগতের তিন স্তর। ১য় স্তরে মানুষ মনে করে সেই সব জানে, ২য় স্তরে এসে অহংকারী হয়ে ঊঠে, কিন্তু চুড়ান্ত স্তরে যখন প্রবেশ করে তখন বুঝে সেই আসলে কিছুই জানে না। ফলে সেই জানার আগ্রহে মত্ত হয়। সব সময় ভাল জিনিশ জানার আগ্রহ নিজের মধ্যে জাগিয়ে তুলবে।

v মন্দ জিনিস জানার আগ্রহ নিজের মধ্য থেকে পুরাপুরি বের কর ফেলুন।

v টিভি সিনেমা কিংবা নাটকের চরিত্রের সাথে নিজেকে কল্পনা করবেন না, কারন এ সবই অভিনয়, বাস্তবতার সাথে কোন মিল নেই। বিশ্বাস রাখবেন মনে আল্লাহ্‌ আপনার জীবনকে উত্তমরুপে সাজিয়ে দিবে, যা আপনার জন্য কল্যাণকর। নিজেকে সিনেমা নাটকের চরিত্রের সাথে মিলাতে গেলেই জীবনে সুখের চেয়ে অসুখী বেশি হবেন। নিজের সুন্দর চরিত্র কালিমা এসে যাবে।

v আপনি কি অসুখী? মনে রাখবেন, আপনার প্রচেষ্টা এবং কাজই আপনাকে সুখ এনে দেবে

v প্রতিদিন নিয়মিত এবং সময়মত স্রষ্টার প্রতি কর্তব্য সম্পাদন করুন

v প্রতিদিন অভাবীদের কিছুনা কিছু সাহায্য করুন দাতা হোন, গ্রহীতা নয়

v কেউ মনে কষ্ট দিলে মনে কষ্ট পুষে রাখবেন না সময়ের স্রোতে সব কষ্টকে ভেসে ভাসিয়ে দিন তাই কষ্টের ব্যাপারে খোলামেলা আলাপ করুন এবং পরিবারের কাছে সাথে শেয়ার করুন

v সময় যতই খারাপ হোক তা বদলাবেই কোনো অবস্থাতেই ভেংগে পড়বেননা

v মিথ্যা কথা বলা পরিহার করুন। কাউকে মিথ্যা আশা দেওয়া মোটেই উচিত নয়।

v কাউকে কথা দেওয়ার আগে চিন্তা করবেন কথাটা রাখতে পারবেন কিনা। ১০০% নিশ্চিত হয়ে কথা দিন।

v পরিবারের সবার সাথে সবসময় সুসম্পর্ক বজায় রাখুন তারাই আপনার সবচেয়ে আপনজন এদের বাইরে কোন ব্যক্তির কাছে কিছু শেয়ার করে নিজের দুর্বলতাকে প্রকাশ করবেন না।

v প্রতিদিন আপনার জন্মদাতা ও গর্ভধারিণী বাবা মায়ের জন্যে দোয়া করুন

v প্রতি রাত ঘুমানোর আগে আপনার জীবনের হিসাব নিন ভাল কাজগুলির জন্য দয়াময় আল্লাহকে শুকরিয়া জানান মন্দগুলির জন্য অনুতপ্ত হোন সেগুলি বদলে দেবার সংকল্প করুন

[লেখার অভ্যাস খুবই কম, ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।]



Thursday, April 13, 2017

বিদায়{আটাশ}

মাত্র কয়েকটা অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ, যেটির নাম বিদায়।  তবে শব্দটি পুরাপুরিভাবে বিষাদে ভরা। শব্দটা কানে আসতেই মনটা কেন যেন বিষন্ন হইয়ে ওঠে। এমন কেন হয়? কারণ এই যে, বিদায় হচ্ছে বিচ্ছেদ। আর প্রত্যেক বিচ্ছেদের মাঝেই নিহিত থাকে নীল কষ্ট। বিদায় জীবনে শুধু একবারই নয়, এক জীবনে মানুষকে সম্মুখীন হতে হয় একাধিক বিদায়ের। সে-ই যে জন্ম লগ্ন থেকে বিদায়ের সূচনা, তারপর জীবন পথের বাঁকে বাঁকে আরো কত বিদায় যে অনিবার্য হয়ে আসে আল্লাহ্‌ ছাড়া কেউ জানে না।

মানবশিশু ভুমিষ্ট হয়েই কাঁদতে থাকে। কেন সে কাঁদে...? সে তো কাঁদবেই। এতদিন মায়ের নাড়ির সঙ্গে তার যে বন্ধন ছিল সেটি যে আজ ছিন্ন হল। এভাবে জীবনের পরতে পরতে ছিন্ন হয় আরো কত প্রিয় বন্ধন! তবে এই বিদায়ে কেউ হাসে আবার কেউ সামনে হেসে চিরস্থায়ী ভাবে কাঁদে যায় আজীবন। কেউ বিদায় নিয়ে যায় সুন্দর কোন লক্ষ্যের দিকে, নতুন স্বপ্নকে বুকে বেঁধে। তবে কিন্তু অন্যদিয়ে আরেক জন......


তবে এ বিদায়ের বেলায় কষ্টের মাঝেও এক রকম আনন্দ থাকতে পারে যদি সান্তনার সংকট না থাকে। আসলে সেইটিরও আমার কাছে বড় অভাব। তার পরেও দেখতে পাচ্ছি বিদায়ী সে বিশেষ ব্যক্তি তার রঙ্গিন স্বপ্ন রঙ্গিন আশার বাস্তবায়ন জন্যই সেই বিদায় তবে তো সেই বিদায়ে সান্ত্বনা পাওয়াই স্বাভাবিক।


মানবজীবনের সর্বশেষ যে বিদায় অবধারিত হয়ে আসে তার নাম মৃত্যু। মৃত্যু এমন এক বিদায়ের নাম, যার দিন-তারিখ কেউ বলতে পারে না। বলা সম্ভব নয়। পৃথিবীতে আসার সিরিয়াল আর যাবার সিরিয়াল কিন্তু এক নয়। কুরআন মজিদে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন ... “কোনো মানুষ জানে না, সে আগামীকাল কী উপার্জন করবে এবং কোনো মানুষ জানে না, সে কোন স্থানে মৃত্যুবরণ করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ। তিনি সর্ব বিষয়ে সম্যক অবহিত। -সূরা লোকমান আয়াত-৩৪।