অতীত চিরদিনের মতো চলে
গেছে। যদি কেউ অতীতের দুঃখজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বসে বসে চিন্তা ভাবনা করে তাহলে এতে শুধুমাত্র এক ধরনের পাগলামি দেখতে পাবে। যেই
পাগলামি বর্তমান জীবন যাপন করার বা উপস্থিত মুহূর্তে বেচে থাকার দৃঢ় সংকল্পকে
ধ্বংস করে দেয়ার মতো এক ধরনের রোগ।
যাদের দৃঢ় সংকল্প আছে তারা অতীতের সকল দুঃখজনক ঘটনাবলিকে ধুয়ে মুছে ফেলে দিয়ে ভুলে গিয়েছে। এতে ঘটনাগুলো আর কখনো তাদের সত্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। কেননা, সেগুলো বিস্মৃতির অতল গহ্বরে তলিয়ে গেছে।
অতীতের উপাখ্যান শেষ হয়ে গেছে, দুঃখ ওগুলোর ক্ষতিপূরণ করতে পারে না। বিষন্নতা সে গুলোকে সংশোধন করতে পারে না, আর হতাশা কখনও অতীতকে পুনঃজীবন দান করতে পারে না। কেননা অতীত চিরকাল অতীত ও অস্তিত্বহীন।
অতীতের দুঃস্বপ্ন দেখিও না বা যা তুমি হারিয়েছ তার মিছে আশা করিও। অতীতের ভূতের অবির্ভাব হইতে নিজে কে রক্ষা কর। তুমি কি মনে করো যে, তুমি সূর্যকে তার উদয়স্থলে, দুধকে গাভীর উলানে অথবা অশ্রুকে আখিতে ফিরিয়ে দিতে পারবে। অতীত ও অতীতের ঘটনাবলি নিয়ে অনবরত চিন্তা ভাবনা করে তুমি নিজেকে এক অতি ভয়ংকর ও শোভনীয় মানসিক অবস্থায় উপনীত করেছ।
অতীত নিয়ে অতিরিক্ত গবেষনা বর্তমানের অপচয় মাত্র। অতীতের দিনগুলো চলে গেছে এবং শেষ হয়ে গেছে। আর ইতিহাসের চাকা উল্টো দিকে বা পিছন দিকে ঘুরিয়ে তাদের ময়না তদন্ত করে তোমার তো কোন লাভ হবে না।
যেই লোক অতীতের চিন্তায় বিভোর থাকে সেই তো ঐ লোকের মত যেই লোক কাঠের গুড়ো কে করাত দিয়ে চেরাই করতে চায়। যেই ব্যক্তি অতীত নিয়ে কান্না-কাটি, হা-হুতাস ও দুঃখ করত এমন ব্যক্তিকে প্রাচীনকালে বলা হতো, “মৃতকে তাদের কবর থেকে তুলিও না।" আমাদের দুঃখজনক ব্যাপার এই যে, আমরা বর্তমানের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করতে পারি না। আমাদের সুন্দর সুন্দর প্রাসাদকে অবহেলা করে আমরা ধ্বংস করে দালানকোঠার জন্য হাউ মাউ করে কান্না কাটি করি। সকল জ্বীন ও ইনসান একত্রে অতীতকে ফিরিয়ে আনতে চাইলেও তারা অতি নিশ্চিতভাবেই ব্যর্থ হবে।
পৃথিবীর সবকিছুই সম্মুখপানে এগিয়ে চলছে। এই পৃথিবী একটা নতুন ও সন্দর ঋতুর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। তোমাকেও তাই করতে হবে। তাই অতীতের সকল ধরনের দুঃখ জনক স্মৃতিকে মন থেকে ফেলে দিয়ে বর্তমানকেই গুরুত্ব দাও।
মূল লেখকঃ Shaykh Dr. Aaidh ibn Abdullah al-Qarn
যাদের দৃঢ় সংকল্প আছে তারা অতীতের সকল দুঃখজনক ঘটনাবলিকে ধুয়ে মুছে ফেলে দিয়ে ভুলে গিয়েছে। এতে ঘটনাগুলো আর কখনো তাদের সত্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। কেননা, সেগুলো বিস্মৃতির অতল গহ্বরে তলিয়ে গেছে।
অতীতের উপাখ্যান শেষ হয়ে গেছে, দুঃখ ওগুলোর ক্ষতিপূরণ করতে পারে না। বিষন্নতা সে গুলোকে সংশোধন করতে পারে না, আর হতাশা কখনও অতীতকে পুনঃজীবন দান করতে পারে না। কেননা অতীত চিরকাল অতীত ও অস্তিত্বহীন।
অতীতের দুঃস্বপ্ন দেখিও না বা যা তুমি হারিয়েছ তার মিছে আশা করিও। অতীতের ভূতের অবির্ভাব হইতে নিজে কে রক্ষা কর। তুমি কি মনে করো যে, তুমি সূর্যকে তার উদয়স্থলে, দুধকে গাভীর উলানে অথবা অশ্রুকে আখিতে ফিরিয়ে দিতে পারবে। অতীত ও অতীতের ঘটনাবলি নিয়ে অনবরত চিন্তা ভাবনা করে তুমি নিজেকে এক অতি ভয়ংকর ও শোভনীয় মানসিক অবস্থায় উপনীত করেছ।
অতীত নিয়ে অতিরিক্ত গবেষনা বর্তমানের অপচয় মাত্র। অতীতের দিনগুলো চলে গেছে এবং শেষ হয়ে গেছে। আর ইতিহাসের চাকা উল্টো দিকে বা পিছন দিকে ঘুরিয়ে তাদের ময়না তদন্ত করে তোমার তো কোন লাভ হবে না।
যেই লোক অতীতের চিন্তায় বিভোর থাকে সেই তো ঐ লোকের মত যেই লোক কাঠের গুড়ো কে করাত দিয়ে চেরাই করতে চায়। যেই ব্যক্তি অতীত নিয়ে কান্না-কাটি, হা-হুতাস ও দুঃখ করত এমন ব্যক্তিকে প্রাচীনকালে বলা হতো, “মৃতকে তাদের কবর থেকে তুলিও না।" আমাদের দুঃখজনক ব্যাপার এই যে, আমরা বর্তমানের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করতে পারি না। আমাদের সুন্দর সুন্দর প্রাসাদকে অবহেলা করে আমরা ধ্বংস করে দালানকোঠার জন্য হাউ মাউ করে কান্না কাটি করি। সকল জ্বীন ও ইনসান একত্রে অতীতকে ফিরিয়ে আনতে চাইলেও তারা অতি নিশ্চিতভাবেই ব্যর্থ হবে।
পৃথিবীর সবকিছুই সম্মুখপানে এগিয়ে চলছে। এই পৃথিবী একটা নতুন ও সন্দর ঋতুর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। তোমাকেও তাই করতে হবে। তাই অতীতের সকল ধরনের দুঃখ জনক স্মৃতিকে মন থেকে ফেলে দিয়ে বর্তমানকেই গুরুত্ব দাও।
মূল লেখকঃ Shaykh Dr. Aaidh ibn Abdullah al-Qarn