Thursday, April 13, 2017

বিদায়{আটাশ}

মাত্র কয়েকটা অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ, যেটির নাম বিদায়।  তবে শব্দটি পুরাপুরিভাবে বিষাদে ভরা। শব্দটা কানে আসতেই মনটা কেন যেন বিষন্ন হইয়ে ওঠে। এমন কেন হয়? কারণ এই যে, বিদায় হচ্ছে বিচ্ছেদ। আর প্রত্যেক বিচ্ছেদের মাঝেই নিহিত থাকে নীল কষ্ট। বিদায় জীবনে শুধু একবারই নয়, এক জীবনে মানুষকে সম্মুখীন হতে হয় একাধিক বিদায়ের। সে-ই যে জন্ম লগ্ন থেকে বিদায়ের সূচনা, তারপর জীবন পথের বাঁকে বাঁকে আরো কত বিদায় যে অনিবার্য হয়ে আসে আল্লাহ্‌ ছাড়া কেউ জানে না।

মানবশিশু ভুমিষ্ট হয়েই কাঁদতে থাকে। কেন সে কাঁদে...? সে তো কাঁদবেই। এতদিন মায়ের নাড়ির সঙ্গে তার যে বন্ধন ছিল সেটি যে আজ ছিন্ন হল। এভাবে জীবনের পরতে পরতে ছিন্ন হয় আরো কত প্রিয় বন্ধন! তবে এই বিদায়ে কেউ হাসে আবার কেউ সামনে হেসে চিরস্থায়ী ভাবে কাঁদে যায় আজীবন। কেউ বিদায় নিয়ে যায় সুন্দর কোন লক্ষ্যের দিকে, নতুন স্বপ্নকে বুকে বেঁধে। তবে কিন্তু অন্যদিয়ে আরেক জন......


তবে এ বিদায়ের বেলায় কষ্টের মাঝেও এক রকম আনন্দ থাকতে পারে যদি সান্তনার সংকট না থাকে। আসলে সেইটিরও আমার কাছে বড় অভাব। তার পরেও দেখতে পাচ্ছি বিদায়ী সে বিশেষ ব্যক্তি তার রঙ্গিন স্বপ্ন রঙ্গিন আশার বাস্তবায়ন জন্যই সেই বিদায় তবে তো সেই বিদায়ে সান্ত্বনা পাওয়াই স্বাভাবিক।


মানবজীবনের সর্বশেষ যে বিদায় অবধারিত হয়ে আসে তার নাম মৃত্যু। মৃত্যু এমন এক বিদায়ের নাম, যার দিন-তারিখ কেউ বলতে পারে না। বলা সম্ভব নয়। পৃথিবীতে আসার সিরিয়াল আর যাবার সিরিয়াল কিন্তু এক নয়। কুরআন মজিদে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন ... “কোনো মানুষ জানে না, সে আগামীকাল কী উপার্জন করবে এবং কোনো মানুষ জানে না, সে কোন স্থানে মৃত্যুবরণ করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ। তিনি সর্ব বিষয়ে সম্যক অবহিত। -সূরা লোকমান আয়াত-৩৪।